গৃহপালিত পশুপাখি পালন পদ্ধতি: গৃহপালিত পশুর আবাসন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য এবং অধিক উৎপাদনের জন্য অধিকতর আরামদায়ক পরিবেশে পশুকে আশ্রয় প্রদানকে গৃহপালিত পশুর আবাসন বলা হয়। পশুকে থাকা, খাওয়া ও বিশ্রামের জন্য যে আরামদায়ক ঘর তৈরি করে দেওয়া হয় তাকে বাসস্থান বা গােয়াল ঘর বলে ।
গৃহপালিত পশুপাখি পালন পদ্ধতি
পশুর বাসস্থান বা গােয়াল ঘরের অনেক সুবিধা রয়েছে। গােয়াল ঘরে একক বা দলগতভাবে পশু পালন করলে ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হয় ও উৎপাদন খরচ কমে আসে। গােয়াল ঘরে সব সময় পশুকে আবদ্ধ না রেখে মাঝে মধ্যে বাইরে ঘুরিয়ে আনা পশুর স্বাস্থ্যের জন্য উত্তম।
আবাসনের উদ্দেশ্য
- ১। আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা
- । পশুকে আশ্রয় ও বিশ্রাম দেওয়া
- ৩। খারাপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা করা
- ৪। পােকা-মাকড় ও বন্য পশুপাখি থেকে রক্ষা করা
- ৫। চোরের হাত থেকে রক্ষা করা
- ৬। পশুকে শান্ত করা
- ৭। গর্ভবতী, প্রসূতি ও বাচ্চার সঠিক পরিচর্যা করা
- ৮। পশু থেকে অধিক দুধ ও মাংস উৎপাদন করা
- ৯। দক্ষতার সাথে দুগ্ধ দোহন করা
- ১০। খাদ্য ও পানি সরবরাহ সঠিক ও সহজ করা
- ১১। পশুর একক ও নিবিড় যত্ন নেওয়া
- ১২। সময়মতাে চিকিৎসা সেবা দেওয়া।
- ১৩। সহজে গােয়াল ঘর পরিষ্কার করা
- ১৪। রােগ প্রতিরােধ ও নিয়ন্ত্রণ করা
- ১৫। গােবর ও অন্যান্য বর্জ্য সংরক্ষণ করা
- ১৬। উৎপাদন খরচ কমানাে
পশুর আবাসনের স্থান নির্বাচন
করা পশুর আবাসনের জন্য স্থান নির্বাচন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্থান নির্বাচন সঠিক না হলে খামার লাভজনক করা যায় না। পশুর আবাসন মূলধন ও পশুর সংখ্যার সাথে সম্পর্কযুক্ত। গৃহপালিত পশুর আবাসন বা বাসস্থান এমন জায়গায় তৈরি করতে হবে, যেখানে নিম্নলিখিত সুবিধাগুলাে বিদ্যমান থাকে।
- ১। উঁচু, শুকনাে ও বন্যামুক্ত এলাকা হতে হবে।
- ২। বাজার, মহাসড়ক ও বসতি থেকে একটু দূরে হবে।
- ৩। দুধ ও মাংস বাজারজাত করার সুবিধা থাকতে হবে।
- ৪। ভালাে যাতায়াত ব্যবস্থা থাকবে।
- ৫। বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের সুবিধা থাকতে হবে ।
- ৬। গােয়াল ঘর বা খামার এলাকা থেকে সহজে পানি নিষ্কাশন হতে হবে।
- ৭। গােয়াল ঘরে যেন সূর্যালােক পড়ে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- ৮। গােয়াল ঘরের চার পাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
- ৯। পশুর জন্য খাদ্য ও পানি সরবরাহের বিষয়টি মনে রাখতে হবে।
- ১০। ভবিষ্যতে খামার বড় করার সুযােগ থাকতে হবে।
গরুর আবাসন
গরুর আবাসনের জনপ্রিয় পদ্ধতি হলাে গােশালা বা গােয়াল ঘরে বেঁধে পশু পালন করা। গােয়াল ঘরের আকার পশুর সংখ্যার উপর নির্ভর করে। পশুর সংখ্যা ১০ এর কম হলে ১ সারি বিশিষ্ট ঘর এবং ১০ বা তার অধিক হলে ২ সারি বিশিষ্ট ঘর তৈরি করতে হবে।
এই ধরনের আরও পোষ্ট পেতে আমাদের poramorso24.com নিয়মিত ভিজিট করুন । ধর্যসহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন