চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ হচ্ছে চুল। তাই বিশেষত মেয়েদের বা নারীর রুপ বর্ণনায় দীঘল কালো চুলের কথা বলা হয়। এমনকি চুল নিয়ে রয়েছে নানা রকম গান, ছড়া , কবিতা। অনেকেই আবার এই চুলের যত্ন নিতে গিয়ে একটু বেশিই নিয়ে ফেলেন।
ফলে টাকা পয়সা এবং চুল দুটোই হারাতে বসেন। মেয়েদের চুলের যত্নে যে ভুলগুলো করবেন না তা নিয়ে আমাদের পোস্ট রয়েছে আপনারা অবশ্যই পড়ে নেবেন। আজকে আলোচনা করবো কিভাবে আপনার চুলকে ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়ে পাতলা ও ঘনকালো করবেন। তাহলে আসুন জেনে নেই চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি।
চুলের যত্নের সাথে সাথে ঘরে বসে ত্বকের যত্ন নিয়েও আমাদের ওয়েবসাইটে আলোচনা করা হয়। এসকল টিপস পেতে রুপচর্চা ক্যাটাগরিতে ক্লিক করুন।
চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি
পাতলা চুল ঘন করতে ৬টি প্রাকৃতিক উপায়
(১) চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার গুণের নেই কোন শেষ। চুলের যত্নে এটি অনেক বেশি কার্যকরী। ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে এটি আপনাকে ফিরিয়ে দিবে ঘন ও উজ্জল চুল। এটি চুলের ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ময়েশ্চার যোগায়। অ্যালোভেরার জেল বের করে সরাসরি চুলে লাগিয়ে নিন। এক ঘণ্টা সময় দিন শুকাতে। তারপরে শ্যাম্পু করে নিন। এটি হেয়ার ফল কন্ট্রোল করার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে। সেই সাথে চুল ও হয়ে উঠবে উজ্জ্বল। নিয়মিত করলে লক্ষণীয় পরিবর্তন চোখে পড়বে অল্প কিছু দিনেই।
(৩) চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: মেথি
চুলের যত্নে মেথির ব্যবহার অনেক পুরনো। রান্না ঘরেই পেয়ে যাবেন চুলের যত্নের এই অসাধারণ উপকরণ। মেথি একরাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ভালোভাবে বেটে নিয়ে চুলের গোঁড়ায় লাগিয়ে রাখুন এক ঘণ্টার মতো। তারপরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুল ঘন তো করবেই পাশাপাশি চুল হবে নরম ও শাইনি। সপ্তাহে মাত্র একদিন ব্যবহার করলেই এক মাসেই ফল পাবেন।
(৪) চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: আমলকি
চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার বহুবিধ। এটি চুলের গোঁড়া শক্ত করে, চুল পড়া কমায়, চুলের বৃদ্ধি বাড়ে, চুল সাদা হওয়া থেকে রক্ষা করে, চুলের স্বাভাবিক রঙ ঠিক রাখে ও চুলকে উজ্জ্বল করে।
বাজার থেকে আমলা তেল না কিনে নিজেই ঘরে আমলা তেল তৈরি করে চুলে লাগান। এছাড়াও বাজারে আমলকীর গুঁড়া পাওয়া যায় সেটা ব্যবহার করতে পারেন চুলের প্যাকের সাথে। তবে আমলা তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
(৫) চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: জবা ফুল
জবা ফুল চুল ঘন করার পাশাপাশি অল্প বয়সে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করে। জবা ফুলের পেস্ট তৈরি করে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলের গোঁড়ায় লাগিয়ে রাখুন। বিশ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
(৬) চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: হেনা বা মেহেদি
হেনা চুলের ক্ষেত্রে ন্যাচারাল ভলিউমাইজার হিসেবে কাজ করে। চায়ের লিকার, ডিম, লেবুর রস, টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে নিন হেনা পাউডার। ঘণ্টা খানিক এভাবেই রেখে দিন। তারপরে ব্রাশের সাহায্যে পুরো চুলে লাগান। এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: ক্যাস্টর অয়েল (Castor oil)
ক্যাস্টর অয়েল খুব পরিচিত একটি হেয়ার অয়েল যা চুলের ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য খুব উপকারী। এটির বহু গুণ, এটি স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের গোড়া মজবুত করে। এই অয়েলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও
প্রোটিন যা চুলের গোড়া মজবুত করে
চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে ও চুলের ঘনত্ব বাড়ায়।
ক্যাস্টর অয়েল সাথে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলের স্ক্যাল্পে ভাল করে মাসাজ করুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট (রাতে শোয়ার আগে)। সকালে ঘুম থেকে উঠে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ৩-৪ বার ব্যাবহার করুন ভালো ফল পেতে।
চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: কলার হেয়ার প্যাক
এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে দুদিন করে ব্যবহার করবেন। এক ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য একমাস এটি লাগিয়ে যেতে পারেন।
উপকরন:
পাকা কলা একটা
মধু ২ চা চামচ
হাফ বাটি টকদই
পদ্ধতি:
সাধারণ চুলের পরিমানে একটি কলাতে প্যাক বানানো যায়। যদি আপনার চুল খুবই লম্বা হয় তাহলে চুলের মাপ অনুযায়ী কলা যোগ করতে পারেন। প্রথমে কলার পেস্ট বানান। এবার সাথে মধু ও দই ভালো করে মিশিয়ে নিন। তিনটি উপকরন মেশানো হয়ে গেলে ১৫ মিনিট পর চুলে হেয়ার প্যাকটি লাগাতে শুরু করুন। এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে দুদিন করে ব্যবহার করবেন। এক ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।
চুল ঘন করতে ডিম, মধু, লেবুর রস, নারকেল তেলের হেয়ার প্যাক
এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে তিনদিন করে ব্যবহার করবেন। এক ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য একমাস এটি লাগিয়ে যেতে পারেন।
উপকরন:
কাঁচা ডিম দুটো
২ চা চামচ
একটা পাতিলেবুর রস
নারকেল তেল ৩ চা চামচ
পদ্ধতি:
প্রথমে ডিম ফাটিয়ে ডিমের হলুদ অংশ বাদ দিয়ে দিন। এবার একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ নিন। একে একে মধু, লেবুর রস, নারকেল তেল মেশান। এবার ভালো করে সারা চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। হাতে কাজ না থাকলে আমাদের হোম পেজে অন্যান্য লেখা পড়তে পারেন।
চুল শুকিয়ে এলে ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। প্যাকটিতে ডিম থাকায় মাথা দিয়ে ডিমের বাজে গন্ধ আসবে। তাই যতক্ষণ না ডিমের গন্ধ যাচ্ছে ততক্ষণ শ্যাম্পু করে নিন। এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে তিনদিন করে ব্যবহার করবেন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য একমাস এটি লাগিয়ে যেতে পারেন।
চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: ডিমের সাদা অংশ
চুলের রুক্ষতা কাটাতে ডিম খুব উপকারী। এটি চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে। ১ টি ডিমের সাদা অংশের সাথে ৩ টেবিল চামচ জল দিয়ে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ভাল করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: ডিম এবং দইয়ের প্যাক
ডিম এবং দইয়ের প্যাক চুলকে সিল্কি করে থাকে। ২ টি ডিমের সাদা অংশ, ২ টেবিল চামচ টকদই। সবগুলো উপাদান নিয়ে একটি ঘন পেষ্ট তৈরি করুন। এইবার পেষ্টটি চুলে ভাল করে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ডিম আর দইয়ের প্রোটিন আপানার চুলকে গোঁড়া থেকে মজবুত করার সাথে সাথে আপানার চুলকে ঝলমল করবে।
চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: আমন্ড অয়েল (Almond Oil)
আমন্ড অয়েল চুল পড়া কমিয়ে চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।
আমন্ড অয়েল চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া রোধ করে। চুল ঘন করার উপায়ে এই তেলটি খুব উপকারী। এটি গরম করে চুলে মাসাজ করুন ১০-১৫ মিনিট তারপর ঘণ্টা খানেক রেখে ধুয়ে ফেলুন।
চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: ডিম প্রয়োগ
চুল ঘন করার পাশাপাশি আপনি যদি চুল লম্বা করতে চান তাহলে চুলের প্যাক হিসেবে ব্যবহার করুন ডিম। ডিমের এই প্যাক প্রোটিন ট্রিটমেন্ট হিসেবে কাজ করবে ও চুল করবে শক্ত। চুলের ঘনত্ব ও দৈর্ঘ্য অনুযায়ী একটি বা দুটি ডিম ভেঙে ফেটে নিয়ে চুলে লাগান। ডিমের গন্ধ বেশি খারাপ লাগলে, সাথে কোন একটা সুগন্ধি তেল মেশাতে পারেন। পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ভালোভাবে শ্যাম্পু করুন। সপ্তাহে ২ বার করলে মাস খানেকের মধ্যেই চুলে লক্ষণীয় পরিবর্তন আসবে।
আজ সহজ দুটি টিপস আর হেয়ার প্যাক আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। নিয়মিত এইগুলি ট্রাই করলে চুলের জেল্লা বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে চুলের পুষ্টিও দ্বিগুণ হবে। তবে এসবের পাশাপাশি ডায়েটের ক্ষেত্রেও খেয়াল রাখবেন। বেশি তেলে ভাজা ভুজি খাবেন না। শরীরের সাথে সাথে চুলের জন্য ভালো না।
চুল কন্ডিশনিং করার জন্য ডিমের তুলনা হয় না। চুল ময়েশ্চারাইজারের জন্য ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করা যায়। রুক্ষ চুলে আধা কাপ পরিমাণ ডিম ভালোভাবে ফেটিয়ে তা মাথায় লাগাতে হবে। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। কিন্তু যেমন তেমন চুল বাঁধলেই হবে? যত্ন নিতে হবে তো। ঘরে-বাইরে দু-দিক সামলে চুলের যত্ন নেওয়ার কথা ভুলেই গিয়েছেন আজকের আধুনিকারা। সকাল থেকে নাকে মুখে গুঁজে বেরিয়ে পড়া আর কাজ শেষে কোনওরকমে বাড়ি ফিরে একটা নতুন দিনের জন্য ফের তৈরি হওয়া। দিনগত পাপক্ষয় চলতেই থাকে। আর এসবের মাঝে মেজাজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রুক্ষ হতে থাকে চুল।
চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: আদার রস (Ginger juice)
আদার রস চুলকে ঘন করে। আদার রসের গুণাগুণ প্রচুর। এটি চুলের পুষ্টি যোগায়, চুলের গোড়া শক্ত করে, চুলকে মজবুত করে। আদার রস চুল পড়া বন্ধ করে। আদা থেঁতো করে তার রস চুলে ১০-১৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: পেঁয়াজের ব্যবহার
সেই প্রাচীন কাল থেকে চুল বৃদ্ধির কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের রসে রয়েছে সালফার যা চুলের কোলাজেন টিস্যুর বৃদ্ধি উন্নত করে এবং চুল বাড়তে সাহায্য করে দ্রুত।
লাল পেঁয়াজ ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে রেখে চিপে রস বের করে নিন। এই পেঁয়াজের রস পুরো মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর মৃদু কোনো সাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করুন এই পেঁয়াজের রস।
চুল ঘন করার ঘরোয়া পদ্ধতি: আলুর রসের ব্যবহার
চুলের বৃদ্ধির কাজে আলুর রসের ব্যবহার অনেকেই জানেন না। কিন্তু আলুর ভিটামিন এ, বই এবং সি চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক।
আলু একেবারে ঝুড়ি করে নিয়ে খুব দ্রুত এর রস বের করে নিন। এই রস সরাসরি মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
সঠিকভাবে চুল আঁচড়ানোর কৌশল
প্লাস্টিকের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে স্থির বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয়, যে কারণে চুল ভেঙে যায়। তাই প্লাস্টিকের চিরুনি ব্যবহার বাদ দিতে হবে। জট ছাড়ানোর জন্য চুল আঁচড়ানোর সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে প্রথমে চুলের শেষের অংশ আঁচড়াতে হবে। তারপর চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লম্বা করে আঁচড়াতে হবে। এই কৌশল চুলে প্রাকৃতিক তেল ছড়িয়ে যেতে সাহায্য করে এবং চুল ভাঙার সমস্যা কম হয়।
উপরে যে উপাদানগুলোর কথা বলা হল সেগুলো চুল ঘন করার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। আপনার যদি বড় ধরনের কোন শারীরিক সমস্যা না থেকে থাকে, তাহলে এই ঘরোয়া উপায়গুলো নিয়মিত চর্চা করলে চুল অবশ্যই ঘন হবে। তারমানে এই না যে এক মাসেই আপনার চিকন বেণী মোটা হয়ে যাবে। ওটা শুধুমাত্র টিভি কমার্শিয়াল এই সম্ভব, বাস্তবে ঐ প্রোডাক্ট ও একমাসে কোন আহামরি পরিবর্তন করতে পারবে না।
এই উপাদান গুলো ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হবে, চুল উজ্জ্বল হবে, তবে কাংখিত ঘন চুল পেতে হলে ধৈর্য ধরে এগুলো ব্যবহার করতে হবে অন্তত তিন মাস। কারন নতুন চুল গজালেও সেটা লম্বা হবার জন্য একটা মিনিমাম সময়তো লাগবে। তাই বাজারের নানান রকমের কেমিক্যাল ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপাদানের হাতেই ছেড়ে দিন আপনার চুল। চুল ভালো থাকবে প্রাকৃতিক যত্নে।
ঘরে থাকা উপাদানেই চলতে পারে পরিচর্যা, যেমন জানালেন হার্বস আয়ুর্বেদিক ক্লিনিকের রূপ বিশেষজ্ঞ শাহীনা আফরিন। ১টি পেঁয়াজ ও ১টি পাকা কলার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়া ভালোভাবে ব্লেন্ড করে মাথার তালুতে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। খেয়াল রাখবেন, প্যাকটি লাগানোর আগে যেন মাথার ত্বক শুকনো থাকে। পুরো বর্ষাজুড়েই সপ্তাহে ১ দিন এই প্যাক লাগালে বন্ধ হবে চুল পড়া।
শরীরচর্চারমতো বিষয়ও চুল পড়া রোধে সাহায্য করে বলে জানালে এভারগ্রিন ইয়োগা সেন্টারের প্রশিক্ষক বাপ্পা শান্তুনু। সকালে খালি পেটে এবং রাতের খাবার খাওয়ার আগে যেকোনো জায়গায় বসে দুই হাতের আঙুলের নখে ওপর–নিচ করে ঘষতে পারেন। এই আসন এখন থেকেই নিয়মিত চর্চা করলে অনেক বয়স হলেও চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি হলাসন, সর্বাঙ্গাসন চুল সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।