নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলা নান্দনিক শব্দটি নন্দন থেকে এসেছে । নন্দন শব্দের অর্থ হলাে যা থেকে আনন্দ পাওয়া যায় বা যার দ্বারা আনন্দ লাভ করা যায়। যেহেতু আনন্দের উৎস হচ্ছে সৌন্দর্য তাই নন্দন শব্দের অর্থকে সৌন্দর্যের সাথে তুলনা করা যায়।
নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি
আর নান্দনিক- এর অর্থ হচ্ছে সৌন্দর্যমণ্ডিত। যেকোনাে কাজ সুন্দর করে গুছিয়ে করা যা দেখলেই সুন্দর বলে প্রতীয়মান হয় তাকে নান্দনিকতা বলে। এই নান্দনিকতা যেমন হতে পারে শিল্পের ক্ষেত্রে তেমনি হতে পারে কবিতার ক্ষেত্রে।
এমনকি প্রাত্যহিক জীবনের ছােট ছােট কাজ থেকে শুরু করে বাষ্ট্ৰীয় ৰহৎ কাজেও নান্দনিকতা বিদ্যমান। কোনাে কাজের ক্ষেত্রে কাজটিকে সুন্দর করে করার, সুন্দরভাবে কাজ করানাের বা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার যে বােধ, মনােভাব বা মানসিকতা তাকে নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি বলে ।
নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব
সবাই সুন্দরের পূজারি। কোনাে কিছুর সৌন্দর্য বিচার করতে কিংবা সৌন্দর্য থেকে আনন্দ অনুভব করতে গেলে নান্দনিকতা সম্পর্কে জানতে হবে এবং দৃষ্টিভঙ্গি হতে হবে নান্দনিক। যার দৃষ্টিভঙ্গি নান্দনিক নয় তাৰ পক্ষে সুন্দরকে সুন্দর হিসেবে বিচার করাই সম্ভব নয়। দৃষ্টিভঙ্গি নান্দনিক হলে মানসিক তৃপ্তি লাভ করা যায়’ আনন্দের সাথে কাজ করা সম্ভব হয়।
ক্যারিয়ার গঠনে নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গির ভূমিকা
সুন্দরভাবে কাজ করার গুরুত্ব অন্যরকম। কারণ সুন্দর কাজকে সবাই পছন্দ করে। কোনাে পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার খাতায় যদি হাতের লেখা গােছানাে হয় ও উপস্থাপনা সুন্দর হয় তবে শিক্ষক তাকে একটু আলাদা করে বিবেচনা করেন। ঐ শিক্ষার্থী শুধু সৌন্দর্যের কারণে অন্যদের চেয়ে একটু বেশি নম্বর পায়।
ক্যারিয়ার গঠনে নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একজন শিক্ষার্থী যদি তার ওপর অর্পিত কাজগুলাে গুছিয়ে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে তবে শিক্ষক, সহপাঠী ও অন্যরা তার প্রতি অনুরক্ত হয় এবং তাকে সহযােগিতা করতে প্রস্তুত থাকে।
একইভাবে কর্মক্ষেত্রেও সে যদি তার কাজে সৌন্দর্যবােধের পরিচয় দিতে সক্ষম হয় তবে সে অন্যদের তুলনায় আলাদাভাবে বিবেচিত হয় এবং তার সম্মান ও মর্যাদা অনেক উঁচুতে উঠে যায়। সবাই তার নৈকট্য লাভ করতে চায় ও তাকে ভালােবাসে।
আরও পড়ুন