হাতের কাজ করে আয় করার উপায়: কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয়ই ভাল। আবার আপনাদের মাঝে আমি হাজির হয়েছি। তবে আজ একদমই সম্পূর্ণ আলাদা একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। বিষয়টি হল- হাতের কাজ করে আয় করার উপায়।
আমি আমার সাইটে এত দিন আয়ের জন্য যতগুলো কনটেন্ট পাবলিশ করেছি সকল কনটেন্টই অনলাইনের মাধ্যমে করতে হয়। তবে আমি আজ যে আয় সম্পর্কে টিপস দিবো সেটা একদমই বাহ্যিক কাজ। তবে এর জন্যও আপনাকে অনলাইনের সাহায্য নিতে হবে। শুধু কাজ করতে হবে নিজের হাতে।
তার আগে আমি একটা কথা বলে নি। কোন কাজই ছোট নয়। আমাদের মহানবী সকল কাজকেই সমান চোখে দেখে গেছেন। তাই যে কাজই হোক না কেন সেটা ছোট করে দেখবেন না। কারণ এই রকম অনেক কাজ আছে যেগুলো করে মানুষ এখন ১০ জনের মধ্যে একজন হয়েছেন।
হাতের কাজ। অনেকেই হয়তো বুঝতে পারছেন না যে আমি আসলে কি বোঝাতে চাচ্ছি। মনে করুন আপনি আপনার বাসায় বসে কোন একটি জিনিস বানালেন। আর সেটা মানুষের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী। এখন আপনি এই সামগ্রীটা যদি বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনার কিছু আয় আসলো।
এখন আমাকে নিশ্চয়ই জিজ্ঞেস করতে মন চাচ্ছে যে, বাড়ি বাড়ি যেয়ে কি পণ্য বিক্রি করবো নাকি?
জ্বী না ভাই। আপনাকে আমি মানুষের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করতে বলছি বলে এই বলছি না যে, সেটা আপনাকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করতে হবে।
বাড়ি বাড়ি না গিয়ে কিভাবে আপনি আপনার হাতের কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন সেটাই আমি আপনাদের সামনে ধাপে ধাপে তুলে ধরবো।
হাতের কাজ করে আয় করার উপায়!
আপনি আপনার আশে পাশে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন যে কত ধরনের হাতের কাজ মানুষ করছে। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই কোন না কোন একটা প্রতিভা থাকে। আর সেই প্রতিভা যদি সঠিক জায়গায় সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলে জীবনটাকে সফল করা যায়।
আমরা প্রায় সবাই বিভিন্ন কাজের পিছনে ছুটি। আর যে কাজের পিছনেই ছুটি না কেন সে কাজের মালিক নিশ্চয়ই থাকে। আমরা কি একবারও চিন্তা করে দেখেছি যে, আমরাও তো পারি এই রকম মালিক হয়ে অন্যদের নিজের কোম্পানিতে কাজ দিতে।
হ্যা আমরা পারি। আর আমরা যে পারি তার অনেক উদাহরণ আছে। যারা নিজেই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে এখন অন্যদের কাজ করার সুযোগ প্রদান করছে। অনেকের মধ্যে একজন মাত্র লোকের উদাহরণ দেই এখন। কারণ তাঁকে আপনারা সবাই চেনেন। নাম তার বিল গেটস।
যিনি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ইনি। যে কিনা বিশ্বের নাম করা হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করতেন। কিন্তু লেখাপড়ায় মন ছিল না তাঁর। সেখানে পড়াকালীন অবস্থাতেই প্রতিষ্ঠা করেন মাইক্রোসফটের যা ছাড়া কম্পিউটার এখন অচল। আর তিনি এখন তার এই কোম্পানিতে তাঁর সেই সকল সহপাঠীদের চাকুরী দিয়েছেন যারা ক্লাসে প্রথম হত।
এই রকম আরো অনেকে মানুষ আছে। হাতের কাজ করলে জীবনে যে অনেক বড় হওয়া যায় সেটা এখন স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। কথা না বাড়িয়ে এবার চলে যাই মূল বিষয়ে।
যে সকল কাজ আপনি করতে পারেন
এখন আমি কিছু কাজের বিবরণ দেবো যেগুলো হাতে করা হয়। আর এই কাজের বিবরণের পরেই আমি আলোচনা করবো যে, কিভাবে বাড়ি বাড়ি না যেয়ে ঘরে বসে সেগুলো থেকে আয় করতে পারবেন।
হাতের কাজ করে আয় করার উপায়: পাট
বাংলাদেশে পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। পাট বাংলার শতবর্ষের ঐতিহ্য। পাট থেকে আপনি অনেক কিছু তৈরি করতে পারেন। যা বিক্রি করে আপনি প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।
পাটের ব্যবহৃত অংশ হল আঁশ। অন্য অনেক আঁশের সাথে মিশ্রণ করে পাটের আঁশ ব্যবহার করা হয়। পাটের আঁশের তৈরি বস্তা এখনো অনেক জনপ্রিয়। পাট থেকে আপনি টেক্সটাইলের বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করতে পারেন। যেমন পাকানো সুতা, বস্তা, কার্পেট, চট ইত্যাদি। আপনি পর্দার কাপড় তৈরিও তৈরি করতে পারবেন এটা দিয়ে।
উলের সঙ্গে পাটের আঁশের মিশ্রণে আপনি গরম কাপড় তৈরি করতে পারবেন। যা এখন এই মৌসুমে খুবই ভাল ভাবে চলবে। কারণ এখন শীতকাল চলছে। এছাড়া পাট থেকে আমরা খড়ি পেয়ে থাকি। যা আঁশের থেকে দুই গুণ বেশি মাত্রায় পাওয়া যায়।
এই খড়ি বহুল কাজে ব্যবহার করা হয়। ঘরের বেড়া তৈরিতে, ছাউনি দিতে, জ্বলানী ইত্যাদি ভাবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া পাটের আঁশ বিভিন্ন ধরনের ঔষুধ ও রঙ তৈরিতে কাজে লাগে।
আপনি চাইলে পাট শিল্প নিয়ে কাজ করতে পারেন। এটা দিয়ে আপনি বিভিন্ন ডিজাইনের পণ্য তৈরি করতে পারেন নিজ হাতে। যা বিক্রি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
হাতের কাজ করে আয় করার উপায়: বাঁশ
বাঁশ সম্পর্কে নতুন ধারনা হয়তো আপনাদের দেওয়া লাগবে না। কারণ যে ক্ষেত্রেই হোক বাঁশ আমরা খুবই ভাল ভাবেই ব্যবহার করতে জানি। কথাটা হাস্যকর হয়ে গেল বুঝি?
যাই হোক, বাঁশ থেকে যে আপনি ব্যপক আয় করতে পারবেন সেটা কি চিন্তা করে দেখেছেন? বাঁশ থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র তৈরি করতে পারবেন যা দৈনন্দিন জীবনে ব্যপক ভাবে ব্যবহৃত হয়।
গ্রামে বাঁশের গোলা বেশি ব্যবহার করা হয়। গোলা অনেকেই চিনেন না। গোলা হল ধান রাখার জন্য একটি জায়গা। যার চারিপাশ বাঁশের চটা দ্বারা বেষ্টিত থাকে। এছাড়া বাঁশ থেকে আপনি দৈনন্দিত জীবনের অনেক কিছুই বানাতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ঝুড়ি, কুলা, খাঁচা ইত্যাদি বানাতে পারবেন এই বাঁশ দিয়ে।
যার ব্যপক চাহিদা রয়েছে আমাদের দেশে। এই সকল জিনিস বানিয়ে বিক্রি করে সেগুলো থেকে অনেক ইনকাম করতে পারবেন।
হাতের কাজ করে আয় করার উপায়: নকশা
অনেকেই আছেন যারা নকশার কাজে অনেক ভাল। আপনারা বিভিন্ন মাধ্যমে নকশার কাজ করতে পারেন বাসায় বসে। আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের জামা কাপড়, চাদর, টুপি ইত্যাদিতে নতুন নতুন নকশা তৈরি করতে পারেন। যা ঐ সকল কাপড়ে নতুন চাকচিক্যতা আনবে।
আপনি দেওয়ালে নকশা করতে পারেন। উল দিয়ে আপনি নিজেই অনেক ধরনের জামা কাপড় বানাতে পারেন। যাতে থাকবে ভিন্ন ভিন্ন মন মাতানো নকশা। যা সবাইকে আকর্ষণ করবে। নকশা করার অনেক মাধ্যম আছে। যেগুলো করে আপনি অন্যদের কাছে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
হাতের কাজ করে আয় করার উপায়: কাগজ
কাগজ মানুষের বহুল ব্যবহৃত একটি জিনিস। আমাদের প্রতিদিনের প্রায় নিত্য সঙ্গী এই কাগজ। আমরা নিজেদের প্রয়োজনেই কাগজ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি জানেন কি এই কাগজ দিয়েই আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন?
হ্যা ভাই আমি সত্যি কথাই বলছি। কারণ কাগজ দিয়ে হরেক রকমের জিনিস বানানো যায়। এই যেমন কাগজ দিয়ে আপনি ভিন্ন ভিন্ন নকশার ফুল তৈরি করতে পারবেন। যা ঘরের সৌন্দর্য্যের বৃদ্ধি করে। অনেক রকমের ছোটদের খেলনা তৈরি করতে পারেন। এই যেমন- পাখি, ঘড়বাড়ি, নৌকা ইত্যাদি। এইগুলো বহুল প্রচলিত।
এছাড়া কাগজ দিয়ে আপনি অনেক ধরনের ব্যানার তৈরি করে আয় করতে পারবেন। তাছাড়া কাগজের আরো অনেক ধরনের ব্যবহার আছে যা আমার থেকে আপনারাই অনেক বেশি জানেন। আমি শুধু উপায় দেখিয়ে দেবো এবং কিভাবে এই গুলো ঘরে বসে বিক্রি করতে পারবেন সেটা দেখিয়ে দেবো।
হাতের কাজ করে আয় করার উপায়: প্রিন্টের কাজ
আপনি চাইলে কাপড়ে প্রিন্টের কাজ করে আয় করতে পারেন। এখন বাটিক প্রিন্টের কাপড় ব্যবসা খুবই লাভজনক ভাবে চলছে। আপনি চাইলে এই ধরনের প্রিন্টের কাজ করে আয় বাড়াতে পারবেন অনেক গুণ বেশি। কারণ প্রিন্ট করা কাপড় ছোট থেকে বড় সবাই ব্যবহার করতে পছন্দ করে। নতুন নতুন প্রিন্টের মাধ্যমে একটি কাপড়কে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করা যায়।
তাই ঘরে বসে এই কাজ করে অনেক ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই এখন এই কাজ করছে ঘরে বসেই।
হাতের কাজ করে আয় করার উপায়: মোমবাতি বা ধূপকাঠি
এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই দুটি জিনিস অনেক বেশি কাজে লাগে। আপনি চাইলে এই ধরনের জিনিস তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এই ধরনের জিনিস তৈরি করতে তেমন খরচ হয় না। খুবই কম মূলধন নিয়ে এই কাজ করতে পারবেন। আর এই ধরনের কাজের জন্য আপনাকে আলাদা করে তেমন জায়গারও দরকার হবে না। নিজের ঘরে বসেই কাজ করতে পারবেন। তাই মোমবাতি বা ধূপকাঠি তৈরি করে খুব সহজেই ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন।
হাতের কাজ করে আয় করার উপায়: গোল্ড-প্লেটিং
এখনকার যুগে কেউ দামী সোনার জিনিস পরে বাইরে যেতে চায় না। তাই এখন সিটি গোল্ডের ব্যপক জনপ্রিয়তা। আর এই কারণেই গোল্ড প্লেটিং এর কাজ করে এখন প্রচুর টাকা ইনকাম করছে অনেকে। মূলত গোল্ড প্লেটিং বলতে বোঝায় যে, কোন সিলভারের গহনার উপর সোনার মত রঙের প্রলেপ দেওয়া। কারণ সিলভারের গহনায় ভাল করে সোনার মত রঙ করে দিয়ে মেয়েদের বা ছেলেদের দামী দামী গহনার মত গহনা তৈরি করা যায়।
যা এখন মানুষ ব্যবহার করছে বেশি। কারণ এই সকল গহনা দেখলে বোঝাই যাবে না যে এটা অরিজিনাল সোনা নাকি সিটি গোল্ডের। এমন ভাবে বানানো যায় এই গহনাগুলো যা দেখতে একদমই সোনায় বানানো গহনার মতই দেখায়। তাই আপনি চাইলে এই কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
হাতের কাজ করে আয় করার উপায়: আচার
অনেকেই খুব ভাল আচার বানাতে পারেন। যারা প্রায়ই বাসায় তৈরি করে খেয়ে থাকেন। কিন্তু আপনি জানেন কি? এই আচার কতটা জনপ্রিয়? এই যুগে এখন আচারের অনেক বেশি জনপ্রিয়তা। কারণ ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত যে কোন বয়সের মানুষই আচার পছন্দ করে।
আচার দেখলেই আমাদের জ্বিবে পানি চলে আসে। তাই আপনি বাসায় বসে বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করে সেগুলো প্যাকেট জাত করে বিক্রি করতে পারেন। যা থেকে আপনি অনেক অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
অনেক ধরনের আচার বানাতে পারবেন আপনি। এই যেমন বরই আচার, তেঁতুল আচার, পাঁচমিশালী আচার, ঝালের আচার ইত্যাদি।
হাতের কাজ করে আয় করার উপায়: মাটি
এখন মাটির তৈরি যে কোন জিনিসই ঘরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর মাটির তৈরি জিনিস অনেক বেশি জনপ্রিয়। আপনি চাইলে মাটির তৈরি অনেক ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।
আসবাবপত্র থেকে শুরু করে অনেক ধরনের জিনিস তৈরি করা যায় মাটি দিয়ে। বাচ্চাদের খেলনা বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। আপনি কোন মেলায় ঘুরতে গেলে মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিস দেখতে পাবেন।
তাই আপনি চাইলে এই মাটির জিনিস বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। এই রকম আরো অনেক হাতের কাজ আছে। শুধু আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনি কোনটা করবেন।
কিভাবে পন্যগুলো বেচবেন?
এখন আসি কিভাবে বাড়ি বাড়ি না যেয়ে আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এখনকার যুগে কেউ বাড়ি বাড়ি ঘুরে পণ্য বিক্রি করতে চায় না। আর তারই ধারাবাহিকতায় তৈরি হয়েছে বিভিন্ন অনলাইন পণ্য কেনা বেচার মাধ্যম। যেখান থেকে আপনি ঘরে বসেই পণ্য কেনার পাশাপাশি পণ্য বিক্রিও করতে পারবেন এই ঘরে বসেই। নিচে আমি কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম তুলে ধরলাম।
কেনাবেচার ওয়েবসাইট
অনলাইনে অনেক কেনাবেচার ওয়েবসাইট পাবেন। যেখানে হরেক রকমের পণ্য কেনা বেচা করা হয়ে থাকে। আর এই অনলাইন মাধ্যমটা অনেক বেশি জনপ্রিয় এই কারণে যে, পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই আপনি দেখে দেখে পণ্য অর্ডার করতে পারবেন এবং সেই পণ্য আপনি ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন।
যেহেতু আপনি পণ্য বিক্রি করতে চান, সেহেতু আপনাকে ঐ সকল কিছু অনলাইন কেনা বেচার ওয়েবসাইটে নিজের নামে এবং নিজের ডিটেইলস দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। পরে আপনার নিজের পণ্য গুলো ভাল করে ছবি তুলে তার সম্পর্কে কিছু ডিলেইটস লিখে সাথে দাম লিখে পাবলিশ করে দিতে হবে।
এতে করে সারা জায়গার মানুষ আপনার এই পণ্যটা অনলাইনে দেখতে পাবে। আর অনলাইনের মাধ্যমেই আপনাকে পণ্য অর্ডার করবে। আপনি অর্ডার পেলে তার কাস্টমারের ঠিকানামত কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে পারবেন।
কুরিয়ারের অনলাইন পণ্যের জন্য আলাদা নিয়ম আছে। আপনি যদি তাদের সাথে একটি ডিল করেন তাহলে তারা কাস্টমারকে পণ্যটা বুঝে দেওয়ার সময় আপনার পণ্যের টাকা নিয়ে রাখবে। যে টাকা আপনি পরে কুরিয়ার থেকে নিতে পারবেন। এই ভাবে আপনি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। bikroy.com, ekhanei.com, daraz.com ইত্যাদি আরো অনেক কেনাবেচার ওয়েবসাইট আছে।
ফেসবুক
এখন ফেসবুক পণ্য কেনা বেচার জন্য অনেক বেশি জনপ্রিয়। আপনি ফেসবুকে নিজের পণ্য বিক্রির জন্য আলাদা পেজ খুলে সেখানে আপনার পণ্যের দামসহ ডিটেইলস পোস্ট করতে পারেন। যা দেখে কোনো কাস্টমার যদি কোন পণ্য অর্ডার করে তাহলে নিজে গিয়ে বা কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্যটা পাঠিয়ে দিতে পারেন।
ফেসবুকে সব শ্রেণীর মানুষ আছে। তাই ফেসবুক নিজের পণ্য বিক্রি করার জন্য খুবই ভাল একটি মাধ্যম। তবে ফেসবুকে পণ্য বিক্রি করার জন্য আপনাকে একটু কাজ করতে হবে। নিজের পেজের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়াতে হবে। সারাদেশের অনেক লোক এখানে জড় করতে হবে। কারণ পেজে ফলোয়ার না থাকলে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন কেউই দেখতে পাবে না।
বেশি বেশি করে নিজের পণ্যের বিজ্ঞাপন শেয়ার করতে হবে। এছাড়া একটা গ্রুপও খুলতে পারেন। যেখানে বেশি বেশি করে মানুষ অ্যাড করে বিজ্ঞাপন প্রচার করবেন। তাহলে আপনার পণ্যের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলবে। আর ইনকামও তেমনি ভাবে বাড়বে।
নিজের ওয়েবসাইট
আপনি চাইলে নিজের পণ্য বিক্রির জন্য নিজেই আলাদা করে ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। এখন বেশির ভাগ লোকই এই ভাবে পণ্য বিক্রি করছে। ওয়েবসাইট থাকলে নিজের মত করে পণ্যগুলো সাজিয়ে প্রচার করা যায়। এতে করে দুই দিক থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমত আপনার পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আর দ্বিতীয়ত আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিভাবে আলাদা করে টাকা ইনকাম করা যায় সেটা আমার সাইটে আমি আগে আলোচনা করেছি। ধাপে ধাপে পদ্ধতি দেওয়া আছে এই সম্পর্কে। আপনি চাইলে পোস্টটি দেখে শিখতে পারবেন কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া কিভাবে একটি ওয়েবসাইট খুলতে হয় এবং ওয়েবসাইট খুলতে কি কি প্রয়োজন হয় তার সমস্ত কিছু পাবেন আমার এই সাইটে। যা আমি আগেই পোস্ট করে রেখেছি। আপনি ঐ পোস্টগুলো দেখলে নিজে নিজেই ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন এবং ওয়েবসাইটের পাশাপাশি পণ্য বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া আরো অনেক স্যোসাল মিডিয়া আছে যেগুলো আপনি কাজে লাগাতে পারেন আপনার পণ্যের প্রচারের জন্য। যেখান থেকে আপনি অজস্র কাস্টমার নিয়ে আসতে পারবেন।
আশা করি বোঝাতে পেরেছি যে, ঘরে বসেই হাতের কাজ করে কিভাবে আয় করা যায়।
আবার দেখা হবে অন্য কোন নতুন টপিক্স নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন। আর আমার সাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো দেখতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ