Breaking News

বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব

বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বনভূমিতে গাছলাগানাে, পরিচর্যা ও সংরক্ষণকে বলা হয় বনায়ন। বনায়নের ফলে বনভূমি হতে সর্বাধিক বনজ দ্রব্য উৎপাদিত হয়। বসতবাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সড়ক ও বাঁধের ধার, পাহাড়ি অঞ্চল ও উপকূলীয় অঞ্চলে বৈজ্ঞানিকভাবে পরিকল্পিত উপায়ে সৃজিত বনায়নকে বলা হয় সামাজিক বনায়ন।

বাস উপযােগী পরিবেশ তৈরি ও তা সংরক্ষণে বনের ভূমিকা অপরিসীম। কোনাে দেশের বা অঞ্চলের বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে বড় বড় বৃক্ষরাজি ও লতা-গুল্মের সমন্বয়ে গড়ে উঠা বনকেই বনভূমি বলা হয়। এসব বনভূমি কখনাে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয় ও গড়ে উঠে। আবার কখনাে মানুষ তার প্রয়ােজনে বৃক্ষ রােপণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে সৃষ্টি করে থাকে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় একটি দেশের মােট আয়তনের তুলনায় বনভূমির পরিমাণ শতকরা ২৫ ভাগ হওয়া অপরিহার্য। বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব।

বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব

কিন্তু আমাদের দেশে বনভূমির পরিমাণ প্রয়ােজনের তুলনায়। খুবই কম। সরকারি হিসাব মতে বর্তমানে আমাদের দেশের বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৭ ভাগ। ইউনেস্কোর মতে বর্তমানে আমাদের দেশের বনভূমির পরিমাণ শুধুমাত্র ১০ ভাগ। 

বাংলাদেশের বনাঞ্চলের বিস্তৃত

বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব

বন একটি দেশের মূল্যবান সম্পদ। আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি হিসাব মতে বর্তমানে বাংলাদেশের মােট বনভূমির আয়তন প্রায় ২২.৫ লক্ষ হেক্টর। বনভূমির এ পরিমাণ দেশের মােট ভূমির শতকরা ১৭ ভাগ। এই বন সারাদেশে সমানভাবে বিস্তৃত নয়। অধিকাংশ বনভূমি দেশের পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বনভূমির পরিমাণ খুবই কম।

বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব

অবস্থান ও বিস্তৃতিভেদে বাংলাদেশের বনাঞ্চলের ধরন

মনুসারে বাংলাদেশের বনাঞ্চলকে প্রধানত পাঁচভাগে ভাগ করা হয়েছে । ভাগগুলাে হলাে

অবস্থা

১। পাহাড়ি বন 

২। সমতলভূমির বন 

৩। ম্যানগ্রোভ বন 

৪। সামাজিক বন 

৫। কৃষি বন।

বনাঞ্চলের ধরন ও বৈশিষ্ট্য

বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব

পাহাড়ি বন

আমাদের দেশের পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ি বন অবস্থিত। বাংলাদেশের বন এলাকার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা জুড়ে রয়েছে পাহাড়ি বন। কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভী। বাজারে এ বন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

বাংলাদেশের প্রধান প্রধান পাহাড়ি গাছ হচ্ছে- গর্জন, রাজকড়ই, চাপালিশ, তেলসুর, কড়ই, গামার, চম্পা, জারুল, সেগুন, বন্য আম প্রভৃতি। পাহাড়ি বন এলাকায় নানা ধরনের বাঁশও জন্মে থাকে। 

এসব বাঁশের মধ্যে বরাক, মূলী, উরা, মরাল, তল্লা, কেইট্টা, নালা প্রভৃতি। পাহাড়ি বনাঞ্চলে হাতি, বানর, শুকর, ভালুক, বনমুরগি, শিয়াল, নেকড়ে, কাঠবিড়ালি প্রভৃতি বন্য প্রাণী বাস করে। বিভিন্ন রকমের পাখি ও কীট পতঙ্গ পাহাড়ি বনাঞ্চলে দেখা যায়। 

বড় বড় গাছপালা ছাড়াও লতাগুল্মসহ অসংখ্য প্রজাতির উদ্ভিদ পাহাড়ি বনাঞ্চলে জন্মে থাকে। দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু ও পরিবেশের উপর পাহাড়ি বনের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। এ বনের পরিমাণ ১৩.১৬ লক্ষ হেক্টর।

সমতলভূমির বন 

বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব: বৃহত্তর ঢাকা, টাঙ্গাইল, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী ও কুমিল্লা অঞ্চলের বনকে সমতল ভূমির বন বলে। এ বনের প্রধান প্রধান বৃক্ষ শাল ও গজারি, এছাড়া কড়ই, রেইনট্রি, জারুল ইত্যাদি বৃক্ষও এ বনে জন্মে থাকে। সমতলভূমির প্রাকৃতিক বনের কাছাকাছি বসতি থাকায় এ বনের উপর মানুষের চাপ বেড়ে যাচ্ছে। 

ফলে প্রাকৃতিক বনের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। ইতােমধ্যে অনেক স্থান বনশূন্য হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে এসব এলাকায় সামাজিক বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জনগনের অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে কোনাে কোনাে স্থানে সামাজিক বনায়ন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এ বনের শাল কাঠ খুবই উন্নতমানের হয়ে থকে। 

গৃহ নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি ও অন্যান্য নির্মাণ কাজে শাল কাঠের ব্যবহার করা হয়। এ বনের বন্য প্রাণী প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমানে কোথাও কোথাও অল্প সংখ্যক নেকড়ে, হরিণ, বানর, সাপ, ঘুঘু, দোয়েল ও শালিক দেখা যায়। এ বনের মােট পরিমাণ ১.২৩ লক্ষ হেক্টর।

ম্যানগ্রোভ বন

বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব:বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে এ বন অবস্থিত। প্রত্যহ সামুদ্রিক জোয়ারের পানিতে এ বন প্লাবিত হয় বলে একে লােনা পানির বনও বলা হয়। খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার দক্ষিণের বিস্তৃত এলাকা ম্যানগ্রোভ বলে পরিচিত। 

এ বনের প্রধান বৃক্ষ সুন্দরি । সুন্দরি বৃক্ষের নামানুসারে এ বনের নামকরণ করা হয়েছে সুন্দরবন। এ বনের অধিকাংশ উদ্ভিদের উর্ধ্বমুখী বায়বীয় মূল রয়েছে। যার সাহায্যে এরা শ্বসন ক্রিয়ার জন্য অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। 

কারণ জলাবদ্ধ মাটি থেকে সাধারণ মূলের পক্ষে অক্সিজেন গ্রহণ সম্ভব নয়। এ বনের গুরুত্বপূর্ণ বৃক্ষ হলাে- গেওয়া, গরান, পশুর, কেওয়া, বাইন, কাকড়া, গােলপাতা ও মােটা বেত । বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার এ বনে বাস করে। চিতাবাঘ, হরিণ, বানর, অজগর, বিচিত্র ।

করে যা “বন আইন (সংশােধন), ১৯৯০” নামে পরিচিত। এ আইনের পর অবৈধ বন ধ্বংসের প্রবণতা কমে বটে কিন্তু পুরােপুরি রােধ করা সম্ভব হয় না। সুতরাং ১৯৯০ সালের এ আইনকে সময় উপযােগী করার প্রয়ােজনীয়তা দেখা দেয়। ফলশ্রুতিতে ১৯৯৬ সালে এ আইনের আরও কিছু সংশােধনী আনা হয়। এ আইন বলে বনজ সম্পদ সংরক্ষণের জন্য কিছু বিধিনিষেধ আরােপ করা হয়েছে। এসব বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। 

এ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকার বনবিধি বলে আরও যা করতে পারবেন তাহলাে

১। সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে কোনাে বনভূমিতে সংরক্ষিত বন গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। 

২। এ প্রজ্ঞাপন বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি বা অন্যকোনাে দাবিদার প্রজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ হতে ন্যূনতম তিনমাস এবং অনধিক চার মাসের মধ্যে বন কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে নিজে হাজির হয়ে ক্ষতির বিস্তারিত উল্লেখ করে আবেদন করতে পারবেন। 

৩। সরকার একইভাবে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট তারিখ হতে সংরক্ষিত কোনাে বন বা তার অংশ বিশেষ সংরক্ষিত, রহিত এ মর্মে নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন । 

বনবিধির বর্ণনা 

বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব: এসাে আমরা এবার বন সংরক্ষণের প্রচলিত আইনের উল্লেখযােগ্য দিকসমূহ জেনে নেই। এ বিধি বলে নিম্নলিখিত কাজসমূহ দন্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে। যথা

১। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত সরকারি বনভূমি থেকে গাছপালা ও অন্যান্য বনজ সম্পদ আহরণ করা। 

২। অনুমতি ব্যতীত আধাসরকারি বা স্থানীয় সরকারি জমি বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা বা কোনাে ব্যক্তির নিজস্ব জমি বা বাগান হতে কাঠ বা অন্যান্য বনজ সম্পদ সংগ্রহ করে নিজ জেলার যে কোনাে স্থানে প্রেরণ। 

৩। যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে সরকারি বনাঞ্চলে প্রবেশ করা, বনভূমিতে ঘরবাড়ি ও

চাষাবাদ করে বনাঞ্চলের ক্ষতিসাধন করা। 

৪। বনাঞ্চলে গবাদিপশু চরানাে। 

৫। প্রয়ােজনীয় অনুমতি ব্যতীত বনের গাছ কাটা, অপসারণ ও পরিবহন করা । 

৬। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমােদিত ঋতু ব্যতীত অন্য সময়ে আগুন জ্বালানাে, আগুন রাখা বা বহন করা। 

৭। বনের কাঠ কাটার অথবা কাঠ অপসারণের সময় অসাবধানতাবশত বনের ক্ষতিসাধন করা, গাছ ছেটে ফেলা, ছিদ্র করা, বাকল তােলা, পাতা ছেড়া, পুড়িয়ে ফেলা অথবা অন্য কোনাে প্রকারে বৃক্ষের ক্ষতিসাধন করা। 

৮। বনে শিকার করা, গুলি করা, মাছ ধরা, পানি বিষাক্ত করা অথবা বনে ফাঁদ পাতা। 

৯। বনজ দ্রব্যাদি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অপসারণ, পরিবহন ও হস্তান্তর করা । 

১০। বন কর্মকর্তা অথবা বন রক্ষণাবেক্ষণে নিয়ােজিত ব্যক্তির কাজে বাধা প্রদান করা।

১১। যথাযথ অনুমতি ব্যতীত বনের মধ্যে গর্ত খােড়া, চুন বা কাঠ কয়লা পােড়ানাে অথবা কাঠ ব্যতীত অন্য কোনাে বনজাত পণ্য সংগ্রহ করা অথবা শিল্পজাত দ্রব্য প্রক্রিয়াজাত করা, অপসারণ করা।

১২। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার পূর্বানুমতি ব্যতীত কোনাে সংরক্ষিত বনে আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রবেশ করা । 

বন আইন লঙ্ঘনের শাস্তির বিধান

বন আইন লঙ্ঘনের বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। উপরােক্ত আইন ভঙ্গের জন্য ন্যূনতম ছয় মাসের জেলসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেলসহ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এসব অপরাধের বিচার প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হয়ে থাকে। 

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিধি 

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য বাংলাদশ সরকার ১৯৭৩ সনে একটি আইন প্রণয়ন করেন যা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ), অধ্যাদেশ, ১৯৭৩ নামে অভিহিত। এ আইন বলে বিনা অনুমতিতে যে কোনাে উপায়ে বনাঞ্চলে বন্যপ্রাণী শিকার বা হত্যা করা, বন্যপ্রাণী প্রজননে বিঘ্ন সৃষ্টি, জাতীয় উদ্যানের সীমানার এক মাইলের মধ্যে কোনাে প্রাণী শিকার, বিদেশি প্রাণী আমদানি বা বিদেশে রপ্তানি করা প্রভৃতির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরােপ করা হয়েছে। বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব।

এ আইন লঙ্ঘন করা শাস্তিযােগ্য অপরাধ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিধি লঙ্ঘনকারীকে আদালত ছয় মাসের জেলসহ পাঁচশত টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ দুই বত্সরের জেলসহ দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন। এ আইন ভঙ্গকারীকে আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে জেল দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে মানুষের জীবন বাঁচাতে, ফসলের ক্ষতি রােধ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বন্যপ্রাণী শিকার বা হত্যা করা শাস্তিযােগ্য অপরাধ নয়।

বন সংরক্ষণ বিধির প্রয়ােজনীয়তা

বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব

দেশের বিরাজমান বন সংরক্ষণ ও নতুন বন সৃষ্টি করে দেশে বনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি। কারণ বন পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখে। কিন্তু আমাদের দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি। 

এ অধিক জনসংখ্যার মৌলিক চাহিদা মেটানাের জন্য সীমিত বনজসম্পদের উপর বিশাল চাপ সৃষ্টি করছে। প্রাত্যহিক চাহিদা মেটানাের জন্য মানুষ বনের বৃক্ষরাজি ও বন্য প্রাণী উজাড় করছে। বন ধ্বংস হওয়ার কারণে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রজনন বিঘ্নিত হচ্ছে, খাদ্য সংকট হচ্ছে। 

অবৈধ শিকারির কবলে পড়েও বন্য প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে। বনে অবৈধ অনুপ্রবেশ বাড়ছে। বনজসম্পদ চুরি ও পাচার করে এক শ্রেণির অসাধু লােক বন ধ্বংস করছে। বনের নিকটবর্তী এলাকাবাসী ধীরে ধীরে বন দখল করছে। বন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে। 

অসাধু চক্র পার্বত্য এলাকার পাহাড় কেটে, কাঠ পাচার করে পাহাড়ি বন ধ্বংস করছে। এ ছাড়াও সৃজিত সামাজিক বনের বৃক্ষরাজি আত্মসাৎ করছে। এর ফলে ভূমিক্ষয়, ভূমি ধ্বংসসহ নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। দেশ পরিবেশগত ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

বনজসম্পদকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে বন সংরক্ষণ বিধি প্রণীত হয়েছে। এ বিধির কার্যকরী প্রয়ােগে সরকারিভাবে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বনবিধি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনসংযােগ বাড়াতে হবে । বন সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিধি বাস্তবায়িত হলে অনেক সুফল পাওয়া যেতে পারে।বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব। বেলি ফুল চাষ পদ্ধতি ও  রােগ বালাই ব্যবস্থাপনা।

এই ধরনের আরও পোষ্ট পেতে আমাদের poramorso24.com নিয়মিত ভিজিট করুন । ধর্যসহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। বনায়ন কাকে বলে, বনায়ন কত প্রকার ও বনায়নের গুরুত্ব।

আরও পড়ুন

  1. গৃহপালিত পশুপাখি পালন পদ্ধতি
  2. গােলাপ ফুল চাষ পদ্ধতি
  3. গাভী পালন পদ্ধতি
  4. গরুর মাংস ও দুধ উৎপাদনে অ্যালজি গুরুত্বপূর্ণ কেনজলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষিক্ষেত্রে প্রভাব
  5. গরু মোটাতাজাকরণ দানাদার খাদ্য তালিকা
  6. পাট চাষ পদ্ধতি ও পাটের জাত
  7. জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষিক্ষেত্রে প্রভাব
  8. শাকসবজি চাষ পদ্ধতি ও শাকসবজির গুরুত্ব 

About sujan

Check Also

আমার দেশ সুফিয়া কামাল

আমার দেশ| সুফিয়া কামাল

আমার দেশ| সুফিয়া কামাল: সূর্য-ঝলকে! মৌসুমী ফুল ফুটে  স্নিগ্ধ শরৎ আকাশের ছায়া লুটে  পড়ে মাঠভরা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *